লালমনিরহাটে ক্ষেত থেকে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে মাত্র দেড় থেকে ২ টাকা দরে। কৃষক বলছে, উৎপাদন খরচের অর্ধেকও উঠছে না। এতে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে জেলার কৃষকদের মাঝে। অনেকেই জমিতেই নষ্ট করে ফেলছেন ফসল। কৃষি অধিদপ্তর বলছে, মৌসুমের মাঝামাঝিতে সরবরাহ বাড়লেও, চাহিদা বাড়েনি। তাই দাম কমে গেছে।উত্তরবঙ্গের সবজি ভাণ্ডার বলে পরিচিত লালমনিরহাট। মৌসুমের শুরুতে সদর উপজেলা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী’সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন ফুলকপি বোঝাই ১০-১২টি ট্রাক ঢাকায় আসতো। কাওরান বাজারসহ দেশের বিভিন্ন সবজির আড়তে চাহিদাও ছিল ভরপুর। প্রতি পিস বিক্রি হতো ২০-২৫ টাকায়। সেখানে, সপ্তাহখানেক ধরে ফুলকপির দাম নেমেছে দেড় থেকে ২ টাকায়।একজন কৃষক বলেন, এবার ফুলকপির দাম কমায় কৃষকদের বেশ ক্ষতি হয়েছে। উত্তরবঙ্গের ফুলকপি আমরা মাঠেই নষ্ট করে ফেলছি। এছাড়া কোনো উপায় নেই। ট্রাক ভাড়াই উঠে না। অন্য আরেক কৃষক হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ৮০০ টাকা প্যাকেট বীজ কিনে এখন প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি করছি ২টাকা দরে। আমাদের উৎপাদন খরচই উঠছে না।
কৃষি অধিদপ্তরের কাছেও এই সমস্যার কোনো সমাধান নেই। এই মৌসুমে কৃষকদের অন্য সবজি আবাদের পরামর্শ দিচ্ছেন কর্মকর্তারা।লালমনিরহাটের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. সাইখুল আরেফিন বলেন, সবজির সিজনের মাঝামাঝি সময়ে সবাই চাষ করে তখন বাজারে সরবরাহ বেড়ে যায়। আর সরবরাহ বেড়ে গেলে কিন্তু চাহিদাও হুট করে বাড়ে না। যার ফলে সবজির দাম কমে যায়। আর মাঝখান দিয়ে ১৫-২০ টাকার ফারাক সেটা ব্যবসায়ীদের হাতে চলে যায়।
উল্লেখ্য, প্রতি পিস ফুলকপি উৎপাদনে কৃষকের খরচ পড়েছে ৮-১০ টাকা।